রুবেল ইসলাম, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ঃ
ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের কার্যক্রমকে কেন্দ্র করে সারাদেশে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা দিলেও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন।
শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘চির উন্নত মম শির’ স্মৃতিস্তম্ভের সামনে ব্যানার, ফেস্টুন ও লাল কার্ড হাতে প্রতিবাদে অংশ নেন শিক্ষার্থীরা। এই প্রতীকী লাল কার্ড প্রদর্শনের মাধ্যমে তারা বাংলাদেশে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের উপস্থিতির বিরোধিতা জানান।
সমাবেশে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, “আমরা কখনোই পুরোপুরি স্বতন্ত্রভাবে দেশ পরিচালনা করতে পারিনি। কখনো দিল্লি, কখনো যুক্তরাষ্ট্র—কারো না কারো ছায়ায় আমাদের চলতে হয়েছে। জাতিসংঘের এই কমিশন সেই বিদেশী নিয়ন্ত্রণের প্রতীক।”
তারা আরও দাবি করেন, “বর্তমান সরকার জনগণের আস্থাভাজন হলেও গণতন্ত্রের বাস্তবায়নে ব্যর্থ। জনমতকে পাশ কাটিয়ে রাষ্ট্র পরিচালিত হচ্ছে। মানবাধিকার কমিশনের বিরোধিতা করলেই মিথ্যা জঙ্গিবাদের অভিযোগে সাধারণ মানুষকে ফাঁসানো হচ্ছে।”
উল্লেখ্য, সমাবেশে অনেকে জাতিসংঘের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেন ফিলিস্তিনসহ মুসলিম দেশগুলোর ক্ষেত্রে ভূমিকা নিয়ে। সমাজবিজ্ঞান বিভাগের (২০১৮-১৯) এক শিক্ষার্থীর ভাষায়, “ফিলিস্তিনে চলমান দমন-পীড়ন জাতিসংঘের নিষ্ক্রিয়তা স্পষ্টভাবে তুলে ধরে। এমন একটি পক্ষপাতদুষ্ট ও ব্যর্থ সংস্থা বাংলাদেশে কার্যকর হলে আমাদের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে।”
শিক্ষার্থীদের হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল—
‘Human Rights Shouldn’t Have Double Standards’,
‘গোলামী না মুক্তি, মুক্তি মুক্তি’,
‘গাজায় যখন মানুষ মরে, জাতিসংঘ কি করে?’,
‘কমিশন না সার্বভৌমত্ব—সার্বভৌমত্বই চাই’,
‘জাতিসংঘের চুক্তি মানেই মূল্যবোধের হুমকি’,
‘গাজায় ঝরে রক্তধারা, জাতিসংঘ দেয় না সাড়া’।
শিক্ষার্থীরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন—বাংলাদেশের মতো একটি স্বাধীন দেশে, জাতিসংঘের নামে কোনো বিদেশী কমিশনের প্রয়োজন নেই।