
অনলাইন ডেক্স;
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ডাকা লকডাউনের কারণে রাজধানীতে বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকালে সাধারণ মানুষের পদচারণা কম দেখা গেছে। সড়কগুলোতে তুলনামূলকভাবে জনসংখ্যা কম, গণপরিবহন সীমিতভাবে চলাচল করছে এবং বেশিরভাগ বাসে যাত্রী সংখ্যা খুবই কম। ব্যক্তিগত গাড়ির উপস্থিতিও কম।
সকালবেলা রাজধানীর গুলিস্তান, পল্টন, মতিঝিল, কাকরাইল, শাহবাগ, ফার্মগেট, সাইন্সল্যাব ও কারওয়ানবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, অটোরিকশার সংখ্যা অন্যান্য যানবাহনের তুলনায় বেশি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম।
রাজধানীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিশেষ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে ঢাকা ও আশপাশের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশের টহল ও চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
অপরদিকে, গণভোটসহ পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলনরত জামায়াতসহ ৮টি দল সক্রিয়ভাবে মাঠে রয়েছে। বিএনপি সরাসরি উপস্থিত না থাকলেও যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় তাদের প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানা গেছে। নাগরিকরা নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে দৈনন্দিন কার্যক্রমে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। সেন্ট জোসেফ স্কুলের অভিভাবক মারিয়া সময়ের আলোকে জানান, ‘অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সন্তানকে আজ স্কুলে পাঠাইনি।’
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রোগীর স্বজন রায়হান রাশেদ বলেন, ‘মায়ের অসুস্থতা নিয়ে বেরিয়েছি, তবে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হইনি। তবু কিছুটা শঙ্কা ছিল মনে।’
এদিকে, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে রাজধানী ও ঢাকার বাইরের এলাকায় অগ্নিসংযোগ এবং ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এসবের জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করেছে, যদিও দলটির নেতারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।