ডেক্স রিপোর্ট
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে চাপ দেওয়া ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে থানায় সাধারণ জিডি দায়ের করা হয়েছে। বুধন্তি ইউনিয়নের মেরাসানী গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হাই মোল্লা বিজয়নগর থানায় এই জিডি করেন। অভিযুক্ত ব্যক্তি মিজান, হরষপুর ইউনিয়নের হরষপুর গ্রামের মৃত বজলুর রহমানের ছেলে। জিডি সূত্রে জানা যায়, গত ৯ মে আব্দুল হাই ডেভিলহান্ট অভিযানে আটক বীর কুমার নামের এক ব্যক্তিকে ইসলামপুর ফাঁড়িতে পৌঁছে দিতে পুলিশকে সহায়তা করেন। পরবর্তীতে মিজান নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে একাধিকবার ফোন করে ইসলামপুর ফাঁড়ির ইনচার্জের বিরুদ্ধে ঘুষ লেনদেনের বিষয়ে মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে চাপ দেন। আব্দুল হাই মিথ্যা তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানালে মিজান তাকে নানা ধরনের হুমকি দেন, মানহানিকর সংবাদ প্রকাশের ভয় দেখান এবং শারীরিক ও মানসিক ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি করেন। ফলে পরিস্থিতির চাপে পড়ে আব্দুল হাই থানায় অভিযোগ দায়ের করতে বাধ্য হন। আব্দুল হাই আরও জানান, জিডি করার পর মিজান একটি সংবাদ প্রকাশ করেন, যেখানে একটি অডিও রেকর্ড যুক্ত ছিল। ওই রেকর্ডে আব্দুল হাই ও এক মোটরসাইকেল মেকানিক রোশন চৌধুরীর বক্তব্য তুলে ধরা হয়। তবে সেখানে ঘুষ লেনদেনের কোনো প্রমাণ মেলেনি।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান সহ একাধিক ব্যক্তি জানান, মিজান একজন দক্ষ ট্রেইলার হলেও বর্তমানে সাংবাদিক পরিচয়ে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে গিয়ে ব্ল্যাকমেইলের চেষ্টা করছেন। অভিযোগ রয়েছে, কিছুদিন আগে তিনি ইসলামপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ আশরাফুল ইসলামকে ফাঁদে ফেলে এক লাখ টাকা আদায় করেন। ওই ঘটনার ভিডিও ও অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এই কাজে তাকে সহায়তা করেন বুধন্তি ইউনিয়নের শশই গ্রামের সুশান্ত দাস, যাকে ভিডিও ফুটেজে টাকা গ্রহণ করতে দেখা যায়।
অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আলী রেজা মামুন জানান, অভিযুক্ত মিজানের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগও রয়েছে এবং তিনি একটি সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ চক্রের সদস্য বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মিজানের বিরুদ্ধে থাকা মামলাগুলোর তথ্য নিচে তুলে ধরা হলো:
১। মাধবপুর থানা, হবিগঞ্জ: এফআইআর নং–২৮/৪১০, তারিখ–২৭.১০.২০১৭; নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ১১(গ)/৩০ ধারা।
২। বিজয়নগর থানা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: এফআইআর নং–০১, তারিখ–০১.০৭.২০১৫; ধারা–১৪৩/৪৪৭/৪৪৮/৩২৩/৩২৪/৩২৬/৩০৭/৩৫৪/৫০৬/১১৪ পেনাল কোড ১৮৬০।
৩। সদর থানা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: এফআইআর নং–১৫, তারিখ–০৯.০২.২০২৫; জি আর নং–৬৮/২০২৫; ধারা–১৪৩/৩২৩/৩৮৫/৫০৬(২)/৩৭৯ পেনাল কোড ১৮৬০।
ওসি শহিদুল ইসলাম আরও জানান, মিজানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তদন্ত চলছে এবং প্রমাণ মিললে তার বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সম্পাদক : মোঃ জহির , উপদেষ্টা : জসিম উদ্দিন খোকন ,বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: ফোন: 𝟎𝟏𝟔𝟐𝟗𝟏𝟎𝟎𝟗𝟐𝟔
বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: 𝟎𝟏𝟔𝟎𝟖𝟔𝟗𝟕𝟖𝟗𝟗
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত