বরুড়া প্রতিনিধি:-
বাংলার হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা এখন আর কেবল পূজা নয়, এটি হয়ে উঠেছে সর্বজনীন মিলনমেলা। উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়ে গ্রাম থেকে শহর, তরুণ থেকে প্রবীণ—সব বয়সের মানুষের প্রাণে। কুমিল্লার বরুড়ায়ও তার ব্যতিক্রম ঘটছে না।
আসন্ন দুর্গোৎসবকে সামনে রেখে বরুড়ায় এবার মোট ৯৩টি পূজামণ্ডপে প্রতিমা স্থাপন করা হচ্ছে। তাই পূজা ঘিরে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয় মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বরুড়া থানা প্রাঙ্গণে।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা সদর দক্ষিণ সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ মোস্তাইন বিল্লাল ফেরদৌস। সভাপতিত্ব করেন বরুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী নাজমুল হক। সভায় পূজামণ্ডপে শতভাগ সিসি ক্যামেরা স্থাপন, স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য আইডি কার্ড বাধ্যতামূলক করা, বিদ্যুতের বিকল্প জেনারেটর রাখা এবং রাত ৮টার মধ্যে বিসর্জন সম্পন্ন করার মতো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেওয়া হয়। এছাড়া মন্দিরের আশপাশে মসজিদ থাকলে নামাজের সময় মাইক ব্যবহার থেকে বিরত থাকারও পরামর্শ দেওয়া হয়।সভায় জাতীয়তাবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ জহিরুল হক স্বপন জানান, পূজামণ্ডপগুলোতে বিশেষ মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জামায়াতে ইসলামের আমীর মোঃ সাহাদাত হোসেন, সাংবাদিক ইউনিয়ন পরিষদ কুমিল্লার সভাপতি সাংবাদিক দিলীপ মজুমদার, পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ ও হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান পরিষদের প্রতিনিধিরাও বক্তৃতা দেন। তারা সবাই মিলেমিশে উৎসবকে শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার আহ্বান জানান। প্রতিবারের মতো এবারও বরুড়ার পূজা মণ্ডপগুলোতে শুধু হিন্দু সম্প্রদায় নয়, সব ধর্ম-বর্ণের মানুষ ভিড় জমাবেন। পূজা উদযাপন কমিটি ও প্রশাসনের সক্রিয় সহযোগিতায় স্থানীয়রা আশাবাদী— এ বছরও দুর্গাপূজা হবে আনন্দমুখর, শান্তিপূর্ণ ও সম্প্রীতির এক অনন্য দৃষ্টান্ত।
সম্পাদক : মোঃ জহির , উপদেষ্টা : জসিম উদ্দিন খোকন ,বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: ফোন: 𝟎𝟏𝟔𝟐𝟗𝟏𝟎𝟎𝟗𝟐𝟔
বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: 𝟎𝟏𝟔𝟎𝟖𝟔𝟗𝟕𝟖𝟗𝟗
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত