শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি:
পরাজিত শক্তির রেখে যাওয়া পুরাতন বন্দোবস্ত পরিবর্তন করা ছাড়া কাঙ্খিত নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবেনা। যত দ্রুত এক্ষেত্রে সংষ্কার হবে তত তাড়াতাড়ি দেশ সঠিক পথে এগিয়ে যাবে। এমন মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এর আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বেলা সাড়ে ১২ টায় নীলফামারীর সৈয়দপুরে শহীদ সাজ্জাদের কবর জিয়ারতের পর হাতিখানা উর্দুভাষী ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে ইকু হেরিটেজ হোটেলের সামনে সংবাদ কর্মীদের তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তার সাথে ছিলেন, এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, দক্ষিণ অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী, যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, ড. আতিক মুজাহিদ, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আলী নাছের খান, আবু সাঈদ লিওন সহ স্থানীয় পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। আহ্বায়ক ডা. তাসনীম জারা প্রমুখ।
জুলাই আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের একবছর পূর্তি উপলক্ষ্যে এবং জুলাই সনদ ও প্রয়োজনীয় সংষ্কারের দাবীতে এনসিপির 'দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা'র তৃতীয় দিন নীলফামারীর সৈয়দপুরে আসেন তারা। রংপুর থেকে সৈয়দপুরে এসেই শহরের হাতিখানা কবরস্থানে গিয়ে শহীদ সাজ্জাদের পিতা আলমগীর হোসেনের সাথে মোনাজাত করেন নেতৃবৃন্দ।
চব্বিশের বিজয়ের মহানায়ক নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, প্রশাসনে এখনো আওয়ামী দোসরদের আধিপত্য বজায় আছে। একারণে আমাদের উপর হামলার ঘটনা ঘটছে। গতকালও এনসিপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। তবে ককটেল বা গুলির সামনে দাঁড়িয়েই আমরা দেশ গড়ার কাজ করে যাবো।
তিনি বলেন, পরাজিত শক্তি নতুন বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে চলেছে। তারই ধারাবাহিকতায় এমন অরাজক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সরকারও আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যর্থ। পতিত আওয়ামী লীগের দোসররা পালিয়ে বেড়াচ্ছে এবং অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির পায়তারা করছে। বিশেষ করে অনলাইনে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এক্ষেত্রে প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে হবে।
নাহিদ আরও বলেন, এতো রক্ত ও জীবন দিয়ে অর্জন করা বিজয় কখনই বৃথা যেতে দেয়া হবেনা। আমরা জুলাই পদযাত্রার মাধ্যমে যে সাড়া পাচ্ছি তাতে জনগণের আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন করেই ছাড়বো। সরকার যদি এক্ষেত্রে আরও গড়িমসি করে তাহলে সারাদেশের শহীদদের বাবা-মা ও যুদ্ধাহতদের দোয়া নিয়ে আমরা আবার মাঠে নামবো। এবার আর কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়তে হলে সংবিধান বদলাতে হবে। কারণ বিদ্যমান সংবিধান মূলত: আওয়ামী বিধান। এটার পরিবর্তন ছাড়া ফ্যাসিবাদ নির্মূল হবেনা। ফ্যাসিস্ট বিদায় হলেও ফ্যাসিবাদী তন্ত্র এখনো জেঁকে বসে আছে রাষ্ট্রযন্ত্রে। যারা মাঝে মধ্যে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। ফ্যাসিস্ট উৎপাদন হওয়ার সব সুযোগ বন্ধ করে দিতে হবে।
কার্যকর সংষ্কার না করে কাঙ্খিত নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবেনা। নতুন বন্দোবস্তের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়নের জন্যই রাজনীতি করছে এনসিপি। সকল ভয়ভীতি উপেক্ষা করে জুলাই সনদ ও সংষ্কার আদায় করার পর নির্বাচন করবো আমরা। এক্ষেত্রে সকলের সহযোগিতা চাই।
কবর জিয়ারত শেষে নেতৃবৃন্দ হাতিখানা উর্দুভাষী (বিহারী) ক্যাম্প পরিদর্শন করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ ও জনসংযোগ করেন। পরে তারা নীলফামারীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। এই কার্যক্রমে শতাধিক তরুণ, যুবক অংশ গ্রহণ করেন।
তারিখ -০৩/০৭/২০২৫ ইং
সম্পাদক : মোঃ জহির , উপদেষ্টা : জসিম উদ্দিন খোকন ,বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: ফোন: 𝟎𝟏𝟔𝟐𝟗𝟏𝟎𝟎𝟗𝟐𝟔
বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: 𝟎𝟏𝟔𝟎𝟖𝟔𝟗𝟕𝟖𝟗𝟗
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত