
অনলাইন ডেক্স
রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত হয়েছেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ডাক্তারদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসাধীন। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।
হাদির ওপর হামলার ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন আল-জাজিরার সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের, যেখানে তিনি নির্বাচনকে ঘিরে সম্ভাব্য নাশকতার বিষয়ে একাধিক বিস্ফোরক দাবি করেন।
তিনি অভিযোগ করেন, পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রের একটি গোয়েন্দা সংস্থা গত কয়েক মাসে অন্তত ৮০ জন আততায়ীকে দেশের বিভিন্ন সীমান্তপথ দিয়ে অনুপ্রবেশ করিয়েছে, যারা সুব্রত বাইনের মতো পেশাদার হত্যাকারী। তার দাবি—কুষ্টিয়া-মেহেরপুর অঞ্চলের চরমপন্থি বিভিন্ন গ্রুপ একত্র হয়ে নির্বাচন সামনে রেখে প্রার্থী, রাজনৈতিক নেতা ও জনপ্রিয় ব্যক্তিদের টার্গেট করে হামলার পরিকল্পনা করেছে।
সায়ের আরও লেখেন, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের এক সাবেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা—যাকে তিনি সুব্রত বাইনের ‘হ্যান্ডলার’ হিসেবে উল্লেখ করেন—জামিনে থাকা পিচ্চি হেলাল এবং চরমপন্থি সংগঠন গণমুক্তি ফৌজের নেতা মুকুলের সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে টেলিফোন কনফারেন্সে যোগাযোগ করেন। সেখানে নির্বাচনের আগে সহিংসতার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয় বলে তিনি দাবি করেন।
তার আরও দাবি, কারাগারে থাকা অবস্থায় সুব্রত বায়েন তার মেয়ে সিনথিয়ার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে পিচ্চি হেলাল, ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পলাতক মুকুল এবং নেপালে থাকা বিডিআর বিদ্রোহ মামলার আসামি লেদার লিটনসহ কয়েকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
এই আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা, নাশকতা ছড়ানো এবং দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
জুলকারনাইন সায়েরের দাবি—
“বিশেষ একটি গোষ্ঠী নির্বাচন বানচাল করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। এক হয়ে, সতর্ক থেকে—এই চক্রকে মোকাবিলা করাই একমাত্র পথ।”
এদিকে হাদির ওপর হামলার ঘটনার পর এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, ঘটনাটি তদন্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।