মোহাম্মদ এমরান হোসেন রিটন কুমিল্লা হোমনা তিতাস প্রতিনিধি :-
কুমিল্লার হোমনা থানায় থানা হেফাজতে থাকা হামিদা ওরফে ববিতা (বয়স আনুমানিক) নামে এক নারী আসামির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে থানার নারী ও শিশু সহায়তা ডেস্কে এ ঘটনা ঘটে। আজই তাকে আদালতে সোপর্দ করার কথা ছিল।
হোমনা থানার ওসির ভাষ্যমতে, ওই নারী গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
নিহত হামিদা হোমনা উপজেলার ঘনিয়ারচর গ্রামের খলিল মিয়ার স্ত্রী। পুলিশ জানায়, বুধবার সকালে তিনি সতীনের ১১ বছর বয়সী ছেলে সায়মনকে ছুরিকাঘাত করেন। এতে শিশুটির নাড়িভুঁড়ি বেরিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় সায়মনকে প্রথমে হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে সে ঢামেকে চিকিৎসাধীন।
ঘটনার পর স্থানীয়রা হামিদাকে আটক করে গাছে বেঁধে রাখেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বুধবার বিকেল ৫টার দিকে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় আহত সায়মনের চাচা স্বপন মিয়া বাদী হয়ে রাতেই থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ আরও জানায়, হামিদার সঙ্গে তার ৪ বছরের একটি শিশু থাকায় তাকে থানার নারী ও শিশু সহায়তা ডেস্কে রাখা হয়েছিল। আজ ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সেখানে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
হোমনা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল করিম জানান, যেহেতু ঘটনাটি থানা হেফাজতে ঘটেছে, তাই বিষয়টি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে অবহিত করা হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থলে পৌঁছালে সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে হোমনা থানার ওসি মোরশেদুল আলম চৌধুরীর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমি এখন ব্যস্ত আছি, সেকেন্ড অফিসারের সঙ্গে কথা বলুন।”
ঘটনাটি ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। থানা হেফাজতে মৃত্যুর বিষয়টি তদন্ত শেষে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সম্পাদক : মোঃ জহির , উপদেষ্টা : জসিম উদ্দিন খোকন ,বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: ফোন: 𝟎𝟏𝟔𝟐𝟗𝟏𝟎𝟎𝟗𝟐𝟔
বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: 𝟎𝟏𝟔𝟎𝟖𝟔𝟗𝟕𝟖𝟗𝟗
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত